কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক-এর প্রকারভেদ ও তাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক: দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের উদ্দেশ্যে সংযোগ ব্যবস্থাকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলা হয়। নেটওয়ার্ক সংযোগ ব্যবস্থার জন্য কিছু বিশেষ ধরনের মিডিয়া এবং নেটওয়ার্ক-ডিভাইস প্রয়োজন হয়।

সূচিপত্র-

নেটওয়ার্ক-এর ধারণা

যখন দুই বা ততোধিক কম্পিউটার তার বা তারবিহীন মাধ্যমের সাহায্যে সংযুক্ত হয়ে তথ্য, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি শেয়ার করে, তখন উক্ত ব্যবস্থাকে বলা হয় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার প্রযুক্তির সর্বাধুনিক বিকাশ হচ্ছে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করা। ইন্টারনেট হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ই-মেইল, অনলাইন ব্যাংকিং ইত্যাদি কাজ করা যায়

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহার/উদ্দেশ্য

দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কম্পিউটারসমূহের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার রিসোর্স শেয়ার করা এবং একসাথে কাজ করা। রিসোর্স শেয়ার বলতে যা বোঝানো হয়, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার: নেটওয়ার্কভুক্ত এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সহজেই তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেটে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্য দেখা বা ওয়েব সার্চের মাধ্যমে তথ্য খোঁজার মাধ্যমে ইনফরমেশন রিসোর্স শেয়ার করা যায়।

হার্ডওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং: কম্পিউটারের সাথে যুক্ত অন্যান্য যন্ত্রপাতি যেমন-প্রিন্টার, মডেম, স্ক্যানার ইত্যাদি অন্য কম্পিউটার থেকে ব্যবহার করা যায়। এতে করে খরচ বেঁচে যায়। এক্ষেত্রে প্রিন্টার বা অন্যান্য হার্ডওয়্যারগুলো সার্ভার কম্পিউটারের সাথে যুক্ত থাকে, যাতে করে নেটওয়ার্কে যুক্ত সবাই এটি ব্যবহারের সুবিধা পেয়ে থাকে।

সফটওয়্যার রিসোর্স শেয়ারিং: নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন সফটওয়্যার এবং ফাইল অন্যান্য কম্পিউটার থেকে শেয়ার করা যায়।

তথ্য সংরক্ষণ: নেটওয়ার্কিং সুবিধা কাজে লাগিয়ে একটি কেন্দ্রীয় স্টোরেজ মিডিয়া বা সার্ভারে ক্লায়েন্ট যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এতে করে ডেটা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

মেসেজ আদান-প্রদান: নেটওয়ার্কভুক্ত কম্পিউটারগুলো নিজেদের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারে। এভাবে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠা করা যায়।

দূরবর্তী স্থান থেকে ব্যবহার: নেটওয়ার্ক-এ সংযুক্ত হয়ে ঘরে বসে অফিসের অনেক কাজ করা যায়।

ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক-এর ফলে কোনো প্রতিষ্ঠানের সকল ডেটা নেটওয়ার্কভুক্ত সার্ভারে স্টোর করে কেন্দ্রীয়ভাবে ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যাকআপ রাখা ইত্যাদি কাজ করা যায়।

অফিস অটোমেশন: কম্পিউটার নেটওয়ার্ক করে একটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদান, আপডেট করা, লেনদেন, রিপোর্ট তৈরিকরণ ইত্যাদি কাজ করা যায়।

নিরাপত্তা: পাসওয়ার্ড দিয়ে এক্সেস কন্ট্রোল করা যায়। ফলে অ-অনুমোদিত ব্যবহারকারী নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারে না।

সার্ভার সংযুক্তি: সার্ভারের সাথে যুক্ত হওয়া এবং সার্ভারের এপ্লিকেশন চালনা।

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক স্থাপনের অসুবিধা

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক-এ সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন-

  • নেটওয়ার্ক সিস্টেম বাস্তবায়নে অনেক অর্থ প্রয়োজন হয়
  • শক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকলে ভাইরাস আক্রমণ ও ডেটা হ্যাকিং-এর ফলে নেটওয়ার্ক সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি হয়
  • নেটওয়ার্ক সিস্টেম বাস্তবায়নের পর এর রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ

কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে মূলত চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

  • পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Personal Area Network – PAN)
  • লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (Local Area Network – LAN)
  • মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (Metropoliton Area Network – MAN)
  • ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (Wide Area Network – WAN)

নিচে এদের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো।

পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN)

PAN-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Personal Area Network। সাধারণত ১০ মিটার- এর মধ্যে সীমাবদ্ধ কোনো ব্যক্তির বিভিন্ন ডিভাইসের মধ্যে তথ্য আদান- প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি নেটওয়ার্ককে PAN বলা হয়। প্যান হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক, যেটি পার্সোনাল কম্পিউটার ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ- ওয়ারলেস ইউএসবি, ডেস্কটপ, ওয়েব ক্যামেরা, ল্যাপটপ, পিডিএ, সাউন্ড সিস্টেম, প্রিন্টার, স্ক্যানার ইত্যাদি।

প্যান এর বৈশিষ্ট্য

  • পার্সোনাল কম্পিউটার ডিভাইসসমূহের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়
  • ব্যাপ্তি সাধারণত কয়েক মিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে
  • কম্পিউটার বাসসমূহ যেমন- ইউএসবি বা ফায়ারওয়্যার এর মাধ্যমে তার দ্বারা যুক্ত থাকতে পারে
  • ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি দ্বারা একটি ওয়্যারলেস পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (WPAN) Wireless Personal Area Network-তৈরি করা সম্ভব।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN)

LAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Local Area Network। সাধারণত ১ কি.মি. বা তার কম পরিসরের জায়গার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কম্পিউটার বা অন্য কোনো পেরিফেরাল ডিভাইস (যেমন- প্রিন্টার) সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়, তাকে LAN বলা হয়। তবে এর বিস্তার সর্বোচ্চ 1 কিলোমিটার করার জন্য রিপিটার ব্যবহার করতে হয়।

একটি নির্দিষ্ট ভবন বা ক্যাম্পাসে একটি ভবনের একই তলায় অবস্থিত অথবা একই ভবনের কাছাকাছি ফ্লোরের কম্পিউটারগুলো ল্যানভুক্ত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে কম্পিউটারগুলোকে থাকতে হবে। এ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজসাধ্য ও ব্যয়বহুল নয়।

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য

  • ক্ষুদ্র অঞ্চলের মধ্যে এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ
  • শ্রেণি সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত হয়
  • উপাত্ত স্থানান্তরের হার সাধারণত ১০ মেগাবিট/সেঃ থেকে ১০০০ মেগাবিট/সেঃ
  • এই নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজসাধ্য ও ব্যয়বহুল নয়

ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক (CAN)

CAN এর পূর্ণরূপ হলো (Campus/Corporate Area Network)। অনেকগুলো LAN সংযুক্ত করে তৈরি করা হয় । একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন, আবাসিক হলসমূহ, একাডেমিক ভবন, জিমনেসিয়াম এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত ভবনে স্থাপিত LAN গুলোকে সংযুক্ত করতে CAN ব্যবহার করা হয়। এর বিস্তৃতি ১ থেকে ৫ কি.মি. দূরত্ব পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড় অফিস কমপ্লেক্সের একাধিক ভবনে LAN ব্যবহারকারীদের কাজের সমন্বয়ের জন্য কিংবা ব্যয়বহুল এক বা একাধিক পেরিফেরাল ডিভাইস অনেক ব্যবহারকারীর ব্যবহারের জন্য CAN ব্যবহার করা হয় । যেমন- Googleplex, মাইক্রোসফটের নেটওয়ার্ক।

ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য

  • ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্কের দূরত্ব ১ কি.মি. থেকে ৫ কি.মি. পর্যন্ত
  • শ্রেণি সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারগুলো সংযুক্ত হয়
  • এ নেটওয়ার্ক স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতি সহজ ও খরচ করা
  • ব্যবহার করা সহজ
  • এ নেটওয়ার্কে কম্পিউটারসমূহ তার বা তারবিহীন সংযোগ প্রদান করা যায়

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN)

MAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Metropolitan Area Network। একই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটারসমূহ, বিভিন্ন ডিভাইস ও LAN গুলোর সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয়, তাকে MAN বলা হয়। এই নেটওয়ার্কে যখন তারবিহীন সংযোগ দেয়া হয়, তখন তাকে WMAN (Wireless Metropoliton Area Network) বলা হয়। এই নেটওয়ার্কে হাব, গেটওয়ে, সুইচ, ব্রিজ, রাউটার ইত্যাদি ডিভাইসসমূহ ব্যবহৃত হয়।

মেট্রোপলিটন নেটওয়ার্কের বৈশিষ্ট্য

  • MAN এর বিস্তার প্রায় ৫০ কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে
  • LAN এর চেয়ে দ্রুতগতির
  • খরচ তুলনামূলকভাবে কম
  • বেশি পরিমাণ তথ্য আদান-প্রদান করা যায়
  • MAN এর মালিকানা সাধারণত কোনো অর্গানাইজেশনের হয়ে থাকে

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক (WAN)

WAN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Wide Area Network। অনেক বড় ভৌগোলিক বিস্তারে অবস্থিত LAN, MAN,কম্পিউটার ও বিভিন্ন ডিভাইসের সংযোগে যে নেটওয়ার্ক গঠিত হয়, তাকে WAN বলা হয়। WAN-এর বিস্তার সমগ্র দেশ বা পৃথিবী জুড়ে হতে পারে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় WAN-এর উদাহরণ হলো ইন্টারনেট। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ই-মেইল আদান-প্রাদান করা, বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা, ফাইল ডাউনলোড, অনলাইন শপিং ইত্যাদি করা যায়।

ওয়ান-এর আওতায় কম্পিউটারগুলো কেবল একটি শহরেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে, অথবা এগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়েও থাকতে পারে। তবে ওয়ান-এর পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে ফিজিক্যাল লাইন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল, স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন এবং মাইক্রোওয়েভ ট্রান্সমিশনের ওপর।

ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্কের সুবিধা

  • বিভিন্ন তথ্য, পত্র-পত্রিকা, বই, চলচ্চিত্র প্রভৃতি সংগ্রহ ও ব্যবহার করা যায়
  • বিশ্বের যেকোনো স্থানে ই-মেইল প্রেরণ করা যায়
  • ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগতভাবে বুলেটিন বোর্ড গঠন করা যায়
  • অনলাইন শপিং করা যায়
  • ক্লাউট কম্পিউটিং সুবিধা পাওয়া যায়
  • কম খরচে বিশ্বের যে কোনো স্থানে ভয়েস ও ভিডিও যোগাযোগ করা হয়
  • সর্বোপরি, সমগ্র নেটওয়ার্ক বিশ্বকে টেবিলে বসে প্রত্যক্ষ করা যায়
  • কম খরচে ও অল্পসময়ে বিশ্বের একস্থান থেকে অন্য স্থানে ডেটা আদান-প্রদান করা যায়

নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর ভিত্তিতে নেটওয়ার্কের প্রকারভেদ

নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং সার্ভিস প্রদানের ধরনের উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্ককে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় । যথা-

  • (ক) ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network)
  • (খ) পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)
  • (গ) মিশ্র বা হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network)

ক্লায়েন্ট-সার্ভার নেটওয়ার্ক (Client-Server Network)

এক বা একাধিক ডেডিকেটেড সার্ভারের সমন্বয়ে এ ধরনের নেটওয়ার্ক গঠিত হয়। এ ডেডিকেটেড সার্ভার ক্লায়েন্ট পিসি’র জন্য প্রয়োজনীয় সার্ভিস প্রদান করে। সার্ভিসসমূহের আওতায় প্রধানত যা থাকে তা হলো ফাইল, প্রিন্ট মেসেজ, ডেটাবেজ, এ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি।

পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক (Peer to Peer Network)

এ প্রকারের নেটওয়ার্কে প্রতিটি পিসি রিসোর্স (Resource) শেয়ারিং-এর ক্ষেত্রে সমান ভূমিকা পালন করে থাকে । এখানে কোন ডেডিকেটেড সার্ভার থাকে না, ফলে এখানে পিসিগুলোর মধ্যে গুরুত্বের দিক থেকে কোন শ্রেণিবিন্যাসও নেই। প্রতিটি পৃথক পিসি তার ডেটার নিরাপত্তা বিধানে নিজেই দায়ী থাকে। পিসি’র ব্যবহারকারী এ ক্ষেত্রে নির্ধারণ করে দেন তার কোন ফাইল বা ডেটা নেটওয়ার্কে অন্যান্যদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মিশ্র বা হাইব্রিড নেটওয়ার্ক (Hybrid Network)

মিশ্র বা হাইব্রিড নেটওয়ার্ক মূলত ক্লায়েন্ট-সার্ভার ও পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের একটি সমন্বয়। সাধারণত হাইব্রিড নেটওয়ার্কে ক্লায়েন্ট-সার্ভার অংশের প্রাধান্য থাকে। তবে এর পাশাপাশি এখানে স্বল্প পরিসরে পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্কের অংশ জোড়া দেয়া হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার বা নোডগুলোকে সরাসরি কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত না করে বিশেষ স্থানে স্থাপন করা হয় ও তারপর গতিশীল সংযোগ পথ দ্বারা সংযুক্ত করা হয়।

কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর যাবতীয় সকল তথ্য এখানে উপস্থাপন করা হয়েছে, এছাড়াও কোন কিছু জানার থাকলে নিচে কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানাবেন।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন:

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *